ব্যবসায় সফলতায় মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং
top of page

ব্যবসায় সফলতায় মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং

    যারা নতুন উদ্যোগ বা ব্যবসা শুরু করার কথা ভাবছেন - তারা অবশ্যই মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং এই দুটি শব্দের সাথে পরিচিত হয়ে থাকবেন। ব্যবসা- বাণিজ্যের ক্ষেত্রে এই শব্দ দুটি অতি প্রয়োজনীয় ও তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং ছাড়া কোনো ব্যবসা বা উদ্যোগই সফলভাবে স্থাপন সম্ভব নয়। ব্র‍্যান্ডিং বলতে বোঝায় আপনার উদ্যোগ বা ব্যবসার স্বকীয়তা ও অনন্যতাকে প্রতিষ্ঠা করা। আর মার্কেটিং মানে হলো আপনার ব্যবসা, উদ্যোগ বা সেবাকে বাজারজাত করা বা ভোক্তার কাছে পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরা। যেকোনো নতুন উদ্যোগে মার্কেটি ও ব্র‍্যান্ডিং অতন্ত জরুরি। এই দুটি বিষয়কে অবহেলা করলে কখনোই আপনার ব্যবসা বা সেবা সফলতা অর্জন করতে পারবে না । তাই মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং সঠিকভাবে করা একটি উদ্যোক্তার সাফল্যের সাথে ওতোপ্রোতোভাবে জড়িত।  মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং সঠিকভাবে করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট কৌশল ও পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। এগুলোকেই মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং স্ট্র‍্যাটেজি বলা হয়ে থাকে। আজকে আমরা কিছু কার্যকর ব্র‍্যান্ডিং ও মার্কেটিং স্ট্র‍্যাটেজি নিয়ে আলোচনা করব- ১. উদ্যোগের অনন্যতা অনুধাবন - একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আপনাকে আপনার উদ্যোগ, ব্যবসা বা সেবার অনন্যতা বুঝতে হবে। এজন্য প্রথমে আপনাকে বাজারে আপনার প্রতিযোগিদেরকে চিনতে হবে এবং আপনি যেই খাতে উদ্যোগটা নিয়েছেন সেই খাতের অন্যান্য উদ্যোগের চেয়ে আপনি কোন কোন দিক থেকে আলাদা সেই সমস্ত দিকগুলো খুঁজে বের করতে হবে আর এসব দিকগুলো কে আপনার উদ্যোগের স্বকীয়তার হিসেবে ভোক্তার নিকট অত্যন্ত আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করতে হবে যা হবে আপনার উদ্যোগের ব্র‍্যান্ডিং ও মার্কেটিং এর হাতিয়ার।  ২. ভোক্তাদের চাহিদা মাথায় রাখুন - মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং এর জন্য আপনাকে সবার আগে ভোক্তার চাওয়া পাওয়া মেটাতে হবে। এজন্য আপনাকে জানতে হবে ভোক্তার চাহিদা এবং কোন কোন বিষয়ে ভোক্তারা নিরাশ। তারপর সে বিষয়গুলোতে জোড় দিয়ে আপনাকে আগাতে হবে। সচারাচর ভোক্তারা যে প্রশ্নগুলো তুলে থাকে ঠিক সেসব প্রশ্নের উত্তর যেন আপনার মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং স্ট্র‍্যাটেজির অন্তর্ভুক্ত থাকে। ৩. ভোক্তার সাথে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক তৈরি - আপনার মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং স্ট্র‍্যাটেজির মাধ্যমে আপনাকে ভোক্তার সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। আর এজন্য আপনাকে এমনভাবে ভোক্তার চাহিদা পূরণ করতে হবে যাতে তারা আপনার সেবায় আস্থা রাখতে পারেন এবং পরবর্তীতে আবার আপনার সেবাই ফিরে আসেন। যেমন মাইক্রোসফট তার ভোক্তাদেরকে দারুণ সেবার মাধ্যমে তাদের আস্থা যুগিয়ে নিয়েছেন, তাদের সেবার প্রতি ভোক্তাদের নির্ভরশীলতা তৈরি করেছেন যার ফলে এই কোম্পানির সাথে ক্রেতা বা ভোক্তাদের একটি দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্ক সৃষ্টি হয়েছে। ৪. অনন্য বৈশিষ্ট্য গঠন - আপনার উদ্যোগের নিজস্ব কিছু বৈশিষ্ট্য গঠন করতে হবে যা আপনার উদ্যোগ বা সেবাকে একটি শক্ত ভিত্তি দিবে এবং আপনার উদ্যোগকে এই সমস্ত বৈশিষ্ট্য দিয়েই আপনার ব্র‍্যান্ডিং ও মার্কেটিংকে প্রতিষ্ঠা করতে হবে যাতে উদ্যোগটির অনন্যতা উপস্থাপিত হয়। ৫.খেয়াল রাখুন প্রতিক্রিয়ার দিকে - আপনি মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং এর ক্ষেত্রে যেই স্ট্র‍্যাটেজিই অবলম্বন করুন না কেন, আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে ভোক্তার ও বাজারের প্রতিক্রিয়ায় দিকে। এসব প্রতিক্রিয়া থেকেই আপনি আপনার উদ্যোগকে কিভাবে আরও উন্নত ও বিস্তৃত করা যায় তা জানতে পারবেন। আপনাকে ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় প্রতিক্রিয়ার দিকেই মনোযোগ দিতে হবে।প্রতিক্রিয়ার দিকে লক্ষ্য করেই আপনি আপনার স্ট্র‍্যাটেজি গঠন কর‍তে পারবেন। ৬.গবেষণা করুন - সকল উদ্যোগের সফলতার জন্যই গবেষণা প্রয়োজন৷ আপনার ব্যবসার খাতের অবস্থা, ভোক্তাদের চাহিদা, অন্যান্য উদ্যোক্তাগণ ইত্যাদি সকল বিষয়ে আপনাকে খবর রাখতে হবে। তাই আপনার মার্কেটিং ও ব্র‍্যান্ডিং এর জন্য এসব বিষয়ে জ্ঞানার্জন জরুরি। এছাড়াও নতুন নতুন সুযোগ – সুবিধা সংযোজন, ভোক্তার  লাইফস্টাইলকে  কেন্দ্র করে স্ট্র‍্যাটেজি তৈরি করা ইত্যাদি বিষয়েও লক্ষ্য রাখতে হবে।

201 views0 comments
bottom of page