জীবনকে কীভাবে সাজাবো ?
top of page

জীবনকে কীভাবে সাজাবো ?





জীবনকে শুধু অর্থ-বিত্তের পরিকল্পনায় সাজালে হয় না। অর্থের বাইরেও আছে এমন কিছু যা জীবনকে অর্থবহ করতে খুব জরুরী। কিছু রূঢ় বাস্তবতাকে মেনে জীবনকে সাজালে জীবনে অপ্রত্যাশিত চাপে পড়তে হয় না। জীবন আসলে স্বপ্নের চেয়েও সুন্দর কিন্তু ভুল চিন্তায় আর ভুল কাজে আমাদের জীবন হয়ে যায় দুর্বিষহ।


চলুন আজকে জীবনের কিছু গভীর উপলব্ধি নিয়ে গল্প করি-


Harsh Reality


প্রকৃতির কিছু স্বাভাবিক সত্য মেনেই আমাদেরকে দুনিয়ায় চলতে হবে। এ ব্যাপারগুলো যত ভাল বুঝবো জীবন ততো সহজ মনে হবে।

সময়ের সাথে সাথে আমি চলে যাব পৃথিবী থেকে।আমার সুখ-দুঃখও চলে যাবে। পৃথিবী আমাকে কেন্দ্র করে ঘোরে না। আমার দুঃখ কষ্টে কারো কিছু যায় আসে না। আমাকে ভাল রাখা মন্দ রাখার জন্য কেউ দায়বদ্ধ না। আমার কাছে পৃথবী বিশাল কিছু মনে হলেও পৃথিবীর কাছে আমি কিছুই না। আমি চলে যাওয়ার পরে পৃথিবীর কোথাও কোন পরিবর্তন হবে না।সব আগের মতোই চলবে। আমার শুন্যতা প্রকৃতি পূরণ করে দেবে খুব সহজেই। শুধু আমিই চলে যাবো অচিন দেশে। জহির রায়হান এর হাজার বছরের মতো মকবুল বুড়োর জায়গায় মন্তু বসে পুঁথি পাঠ শুনবে। সবই থাকবে শুধু আমিই থাকবো না।

প্রকৃতির নির্ধারিত নিয়মের বাইরে আমরা কেউ না। তাই জীবন এমনভাবে সাজাতে হবে যেন বাস্তবতা বিবর্জিত না হয়। জীবন একটি উপহার কিন্তু সেটা খুব সীমিত সময়ের জন্য। নানা অধ্যায়ে জীবন নানা রঙে বর্ণে সাজানো।

প্রতিটি অধ্যায়ের মর্ম উপলদ্ধি করেই পথ চলতে হবে।




আমরা বাইরের জগতে সবাই অনেক ভাল আছি।কিন্তু ভেতরে ভীষণ শূণ্যতা। কারণ আমাদের সৃষ্টিকর্তার সাথে সম্পর্ক নেই। তাই এটা ভীষণ জরুরী।


Knock, And He'll open the door.Vanish, And He'll make you shine like the sun.Fall, And He'll raise you to the heavens.Become nothing, And He'll turn you into everything. -Rumi

জীবনে ২ টা জিনিস আমাদের অসম্ভব ভাল রাখে-


এক,

প্রার্থনা (prayer)

পৃথিবীর সব ধর্মেই প্রার্থনা কে বিশেষ মর্যাদা দেয়া হয়েছে।


“A day without prayer is a day without blessings,a life without prayer is life without power”

-Edwin Harvey


প্রশ্ন সহজ হবেনা কিন্তু উত্তর দেয়ার যোগ্যতা বাড়াতে হবে। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটাই প্রার্থনা আমাকে সহজ-সরল পথ দেখাও।আমার বক্ষকে প্রসারিত করে দাও। কষ্ট সহ্য করার ক্ষমতা বাড়াতে পারলে জীবনের সব কিছু সহজে মোকাবেলা যাবে। প্রার্থনা আমাদের ভেতরের শক্তিকে জাগিয়ে তোলে।

‘Strength is the inner capacity to bear any stress’


দুই,

কৃতজ্ঞতাবোধ (Gratitute)-

জীবনে কী নাই ,কী পাইনি এসবের হিসাবতো অনেক হয়েছে। এবার একটু আমার কি আছে তালিকাটা নিয়ে বসি।

“Count every little blessing”


এই তালকা করলে দেখা যাবে জীবনটা অসংখ্য নেয়ামতে পরিপূর্ণ। মাটি থেকে শুরু করে গাছ,মা-বাবা থেকে শুরু করে শিক্ষক,আত্নীয় থেকে শুরু বন্ধু । আমার আজকের আমি হওয়ার পেছনে সবার রয়েছে কোন না কোন ভূমিকা। কথা বলতে না পারা আমি, হাটতে না জানা আমি প্রকৃতির কোলেই বড় হয়েছি। তাই সবার কাছেই উচিত গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা।ছোট্ট একটা ধন্যবাদ দিতেও আমরা অনেক সময় কার্পণ্য করি। জীবন দিলেন যিনি তাকে আমরা বেমালুম ভুলে যাই।

কৃতজ্ঞতাবোধ একটা মানুষকে প্রশান্তিময় জীবন উপহার দেয়।


“When I started counting my blessings, my whole life turned around.” – Willie Nelson


টাইম ম্যাগাজিনে একটি আর্টিকেল বের হয়েছে কৃতজ্ঞতার উপকারিতার সেখানে বলা হয়েছে, ২০০৩ সালে ২,৬১৬ জন বয়ঃপ্রাপ্ত মানুষের উপরে গবেষণা করে দেখা গেছে: যারা অপেক্ষাকৃত বেশি কৃতজ্ঞ, তাদের মধ্যে মানসিক অবসাদ, দুশ্চিন্তা, অমূলক ভয়-ভীতি, অতিরিক্ত খাবার অভ্যাস এবং মদ, সিগারেট ও ড্রাগের প্রতি আসক্তির ঝুঁকি অনেক কম। আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে: মানুষকে নিয়মিত আরও বেশি কৃতজ্ঞ হতে অনুপ্রাণিত করলে, মানুষের নিজের সম্পর্কে যে হীনমন্যতা আছে, নিজেকে ঘৃণা করা, নিজেকে সবসময় অসুন্দর, দুর্বল, উপেক্ষিত মনে করা, ইত্যাদি নানা ধরণের সমস্যা ৭৬% পর্যন্ত দূর করা যায়।

২০০৯ সালে ৪০১ জন মানুষের উপর গবেষণা করা হয়, যাদের মধ্যে ৪০%-এর ক্লিনিকাল স্লিপ ডিসঅর্ডার, অর্থাৎ জটিল ঘুমের সমস্যা আছে। তাদের মধ্যে যারা সবচেয়ে বেশি কৃতজ্ঞ, তারা একনাগাড়ে বেশি ঘুমাতে পারেন, তাদের ঘুম নিয়মিত হয়, রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়েন এবং দিনের বেলা ক্লান্ত-অবসাদ কম থাকেন।

নিউইয়র্কের Hofstra University সাইকোলজির অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর ড: জেফ্রি ফ্রহ ১০৩৫ জন ১৪-১৯ বছর বয়সি শিক্ষার্থীর উপর গবেষণা করে দেখেছেন: যারা বেশি কৃতজ্ঞতা দেখায়, তাদের পরীক্ষায় ফলাফল অপেক্ষাকৃত বেশি ভালো, সামাজিক ভাবে বেশি মেলামেশা করে এবং হিংসা ও মানসিক অবসাদে কম ভোগে। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে এসে পাশ্চাত্যের দেশগুলোর কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এই মানসিক সমস্যাগুলো মহামারির আকারে ছড়িয়ে পড়েছে এবং তাদের মধ্যে বাবা-মার প্রতি কৃতজ্ঞতাবোধ আশংকাজনকভাবে কম।



# No full stop on Dreaming


স্বপ্ন মানেই একটি নিছক কল্পনা নয়; স্বপ্ন মানেই বাস্তব, স্বপ্ন মানেই গন্তব্য। আমি কোথায় যেতে চাই তার নাম স্বপ্ন। বলা হয় মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড় হতে পারে। দুই চোখ মেলে তাকালে যা কিছু দেখি সেটা কারো না কারো স্বপ্নের ফস।সৃষ্টিকর্তাও স্বপ্ন দেখেই আমাদের সৃষ্টি করেছেন।আমাদের বাবা মায়ের স্বপ্নের ওছিলায় মরা পৃথিবীতে জন্ম নিয়েছি।


তাই জীবনের প্রতিটা পদক্ষেপে চাই স্বপ্ন।তা ক্যারিয়ারে শীর্ষে আরোহন কিংবা সুখি জীবন যেটাই চাই স্বপ্ন আমাদের দেখতেই হব।স্বপ্নের কোন সময়সীমা নেই,বয়স নেই,শ্রেণী বৈষম্য নেই।যেকেউ যেকোন বয়সে যেকোন স্বপ্ন দেখতে পারি।স্বপ্ন দেখা থেকেই বড় হওয়ার শুরু হয়।


জর্জ ফোরম্যান ১৯৯৪ সালে ২০ বছর পর মুষ্টিযুদ্ধের খেতাবী লড়াইয়ে জয়ী হয়ে প্রমাণ করেছিলেন স্বপ্নের নিকট আত্মসমর্পণের কোন বয়স সীমা নেই, যদি সমর্পণ করা যায় তা হলে জয় সুনিশ্চিত। ১৯৭৪ সালে মোহাম্মদ আলীর হাতে নক আউট হওয়ার ২০ বছর পর ১৯৯৪ সালে ৪৫ বছর বয়সে ২৬ বছরের মাইকেল মুরারকে পরাজিত করে বক্সিং এর খেতাবী লড়াই জেতার মত অসম্ভবকে তিনি সম্ভব করেছিলেন, তার স্বপ্নের জোড়েই। জেতার পর সংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন কিভাবে সম্ভব করলেন এই অসম্ভব কাজটি? তিনি বলেছিনে “স্বপ্ন দেখে। ২০ বছর ধরে বিজয়ের এই স্বপ্ন- ই তো আমি সব সময় দেখেছি। বয়স বাড়লেই মানুষ তার স্বপ্ন বিসর্জন দেয় না। আপনি মনে প্রাণে যা চান তা পাবেনই।”


আমরা বাজার করতে গেলেও লিস্ট করে নিয়ে যাই যাতে কোন পণ্য কেনা বাদ না যায়। কিন্তু এতো বড় একটা জীবনে কি কি চাই তার কোন লিস্ট থাকে না।কী কী পেলে মনে হবে জীবনটা পূর্ণ তার একটা তালিকা থাকা জরুরী।


আমরা স্বল্পমেয়াদী,মধ্যমেয়াদী এবং দীর্ঘমেয়াদী এই তিনটা স্তরে ভাগ করে নিলে খুব সহজে জীবনের চাওয়াগুলো তুলে আনা সম্ভব।

-স্বল্পমেয়াদী মানে আগামী ৬ মাসের মধ্যে যেসব বিষয় অর্জন করতে চাই।হতে পারে নিজে কোন স্কিল শেখা।যেমন-শুদ্ধভাবে কুরআন শেখা,আইটি বিষয়ক কোন কোর্স বা ইংরেজি শেখা।


-মধ্যমেয়াদী মানে আগামী দুই বছরে যা অর্জন করতে চাই। হতে পারে নতুন কোন বিজনেস দাড় করানো।


-দীর্ঘমেয়াদী মানে আগামী ১০-২০ বছরে কি করতে চাই।যেমন,স্কুল করা,এতিমখানা কিংবা বৃদ্ধাশ্রম ধর্মীয় উপসানলয় ইত্যাদি।


স্বপ্নগুলোকে আমরা কয়েকটি স্তরে সাজাতে পারি


ব্যক্তিগত স্বপ্ন-নিজের একান্ত চাওয়ার বিষয়গুলো এই তালিকায় স্থান পাবে।কারো কাছে এর গুরুত্ব থাক বা না থাক আমার কাছে আছে।হতে পারে সেটা দেশ ভ্রমণ,তাবুতে রাত্রিযাপন কিংবা বাগান করা।


পারিবারিক স্বপ্নঃ

মা -বাবা ,স্ত্রী -সন্তান তথা কাছের মানুষদের নিয়ে আমাদের চিন্তার অন্ত থাকে না।কিভাবে তাদের আরেকটু ভাল রাখা যায়,কিভাবে আরেকটু খুশি করা যায়।এই তালিকায় আমরা সেই বিষয়গুলো তুলে যা আমার খুব কাছের মানুষদের মুখে হাসি ফোটাবে।না এখানে অনেক বড় কিছুই লাগবে এমন নয়।ভালবেসে দেয়া প্রতিটা জিনিসই অমূল্য।নিজের মতো


সামাজিক স্বপ্নঃ

সমাজের পিছিয়ে থাকা কিংবা অবহেলিতদের নিয়ে স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।পথশিশু থেকে বৃদ্ধদের জন্য গড়ে তুলতে পারি প্রতিষ্ঠান।নারীদের নিরাপত্তায় কাজ করতে পারি কিংবা প্লাস্টিকের দূষণ,হর্ণ দেয়ার কুফল,ময়লা সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার মতো বিষয় নিয়েও আমরা কাজ করতে পারি।

এভাবেই নানা আইডিয়ার প্রয়োগে সমাজ হবে সবার জন্য বাসযোগ্য।


ধর্মীয় স্বপ্ন

নিজ নিজ ধর্মের জন্য ভাল কিছু করার ইচ্ছা সবার মাঝেই থাকে কিন্তু হয়ে ওঠে না।একটা মসজিদ কিংবা মাদ্রাসা করার স্বপ্ন একদিনে হয়তো হবে না।তাই ছোট ছোট পরিমানে আজকেই যদি সঞ্চয় শুরু করি তাহলে অচিরেই তা বাস্তবায়ন সম্ভব।


এসব স্বপ্নের জিনিসগুলো নিয়ে বানাতে পারি সুন্দর একটা ভিশন বোর্ড যা দেখলেই নিজের স্বপ্নগুলো খুব কাছে থেকে অনুভব হবে এবং বাস্তবায়নের তাগিত অনুভব করবো।



# Decision making-

জীবন প্রতি মূহুর্তে অসংখ্য সিদ্ধান্ত আমাদের নিতে হয়।মাঝে মাখে ছোট ছোট সিদ্ধান্ত আমাদের জীবনে দীর্ঘস্তায়ী প্রভাব ফেলে।সিদ্ধান্তের উপর আমাদের ভাগ্য নির্ধারিত হয়।

Decision shapes our destiny- Tony Robbins

তাই জীবনে প্রতিটা কাজ করার আগে একটু ভাল করে ভেবে করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ।আমাদের ভেতর সব সময় দুইটা মন এক সাথে কাজ করে-


১,আবেগীয় মন-এই মন সবকিছু আবেগী বা emotional side থেকে সব সিদ্ধান্ত নেয়।এতে আমরা খুব দ্রুত ভুল পথে চলে যাই।বিশেষ করে টিনএজ বয়সে আমরা বেশী আবেগবসর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকি।


২,যৌক্তিক মন-এই মন খুব logical তাই সব কিছুকেই একটা দৃষ্টি থেকে দেখে সিদ্ধান্ত নেয়।কিন্তু সবক্ষেত্রে এভাবে লজিক দিয়ে ভাবতে গেলে জীবনে অনেক সিদ্ধান্তই ঠিক মতো নেয়া যায় না।


তাহলে আমরা সিদ্ধান্ত কিভাবে নিবো?

আমরা এই দুই মনের সমন্বয়ে সিদ্ধান্ত নিবো।এই দুইয়ের মনের সমন্বয়ে হয় জ্ঞানী মন (Wise Mind)। জীবনে চলার পথের সিদ্ধান্তগুলো ঠিকমতো নিতে পারলে জীবনে এননিতেই অনেক সহজ হয়ে যায়।



# Healthy Relationship:


বেহেশতে গেলেও কিন্তু একা থাকা সম্ভব না।আমরা যারা একা চলার শক্তি দেখাই,আমার জীবনে কাউকেই লাগবে না তারাও কিন্তু প্রতি মূহুর্ত গাছ থেকে অক্সিজেন নেই। এই পুরো পৃথিবীতে খুব অল্প কিছু মানুষকে আমরা নিজের করে পাই।মা,বাবা,ভাই-বোন,স্ত্রী-সন্তানাদী অথচ এই অল্প কিছু কাছের মানুষকে আমরা আগলে রাখতে পারি না।জীবনের শেষ সময়গুলোতে এসব মানুষগুলোকেই আমাদের খুব প্রয়োজন পড়ে।অথচ একটু মনমালিন্য,সামান্য অর্থ কিংবা এক খন্ড জমির জন্য তাদের এতো দূরে ঠেলে দেই আর কাছে আনতে পারি না।

সম্পর্কগুলো পৃথবীর সব চেয়ে দামী সম্পদ অর্থকড়ি নামক কোন সস্তা জিনিসের কাছে একে বিসর্জন দেয়া চরম বোকামী।


পজিটিভ সাইকোলজির প্রবক্তা মার্টিন সেলিগম্যান ব্যক্তির ভালো থাকা বা সুখের যে পাঁচটি স্তম্ভের কথা বলেছেন, তার মধ্যে ‘সম্পর্ক’ অন্যতম। গুণগত জীবন যাপনের জন্য এই পাঁচটি স্তম্ভ গুরুত্বপূর্ণ হলেও অন্য গবেষণায়ও দেখা গিয়েছে, ‘ইতিবাচক সম্পর্ক’ সুখের অন্যতম প্রধান নির্ধারক।


তাই প্রতিটা সম্পর্ককে যত্ন করবো ,নিঃস্বার্থ ভালবাসবো আগলে রাখবো আমার সব কাছের মানুষদের।



Forget & Forgive:


অন্ধকার কখনো অন্ধকারকে দূর করতে পারে না।

ঠিক ঘৃণা কখনো ভালবাসার জন্ম দিতে পারে না।ক্ষমা হচ্ছে সেই আলো যার আলোক শিখা মানুষের ভেতরের অন্ধকারকে দূর করে।

মনের ভেতর কারো জন্য রাগ ক্ষোভ থাকলে সেটা ঝেরে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ।একাধিক গবেষণায় প্রমানিত যে ক্ষমা করলে মন ভাল থাকে,শরীর সুস্থ থাকে।আমি ক্ষমা করলে সৃষ্টিকর্তাও আমার ভুলগুলো সহজে ক্ষমা করে দেবেন।

“It’s one of the greatest gift you can give your self,to fogive.Forgive everybody"-Maya Angelo


Acceptance


পৃথিবীতে আমি যতটুকু পেয়েছি ঠিক পেয়েছি।সৃষ্টিকর্তা আমার কোন কিছুতে কমতি রাখেননি তিনি ন্যায় বিচারক।আমি যে দেশে জন্মেছি সেটা আমার জন্য পারফেক্ট।আমার বাবা মা পৃথিবীর সেরা বাবা-মা।আমি যতটকু অর্থের মালিক সেটাই আমার জন্য পরিপূর্ণ।সব কিছু সাদরে গ্রহন করার মাঝে ভীষণ একটা মানসিক প্রশান্তি আছে।

আমার ভালোটাও আমার খারাপটাও আমার ।সব কিছুকে accept করার মাঝেই প্রকৃত সুখ লুকিয়ে আছে।


"Life is best for those who understand,it’s difficult for thoe who analyse it and worst for those who who criticise it.Our attitude defines our life."



Death plan


জীবন নিয়ে অনেক প্রস্তুতি কিন্তু যেটা নিশ্চিত নির্ধারিত সেটা নিয়েও প্রস্তুতি থাকা দরকার।জীবন এতো সুন্দর একটাই কারণ জীবনের সমাপ্তি আছে।একটি বারের জন্যই আমাদের পৃথিবিতে আসা।

সব চেয়ে সুন্দর সেরা এবং সফল মৃত্যু হচ্ছে যিনি সৃষ্টি করেছেন সেই স্রষ্টার সন্তুষ্টি নিয়ে মৃত্যুবরণ করা।এমনভাবে জীবনের দায়িত্বপালন করা যাতে মৃত্যুদূত দুয়ারে আসলে বলতে না হয় আরেকটু বাঁচতে চাই।

675 views1 comment
bottom of page