by Shadat Hridoy
আমাদের আশেপাশে দুই ধরনের মানুষ আছে। ১) প্রো-এ্যাক্টিভ ২) রি-এ্যাক্টিভ রি-এ্যাক্টিভ হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষ যারা আশেপাশের মানুষের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয়। কেউ তাদের কে খারাপ বললে তারা নিজেদের খারাপ ভাবে। আবার কেউ তাদের কে পাগল বললে তারা নিজেদের কে পাগল ভাবে। অন্যদিকে, প্রো-এ্যাক্টিভ হচ্ছে সেই সমস্ত মানুষ যারা আশেপাশের মানুষ এর কথাবার্তা, সমালোচনা, দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় না। কেউ তাদের কে পাগল বলুক আর ভালো বলুক তাতে তাদের কিছু যায় আসে না। কারণ তারা নিজেদের কে চিনেন ভালো করে।
একটা গল্প দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করছি
মনে করো, রনি এবং রবিন আঁড়ালে দাঁড়িয়ে শুনতেছিল তাদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু আসিফ তাদের দুইজন কে নিয়ে মিথ্যা সমালোচনা করছে।
এইদিকে, রনি মন খারাপ করে বসে রয়েছে তার বন্ধু তার নামে আজেবাজে কথা বলেছে ভেবে। সে বন্ধুর এমন কার্যক্রম সহজে মেনে নিতে পারলো না। পরবর্তীতে সে ডিপ্রেশন চলে গেলো।
আর রবিন আসিফের কথাগুলো কে পাগলের প্রলাপ বলে উড়িয়ে দিলো। কারণ সে জানে কথাগুলো সম্পুর্ণ মিথ্যা এবং বানোয়াট। তাই সে মন খারাপ করার কারণ খু্ঁজে পায় নি।
তুমি এখানে দেখতে পাচ্ছো, একটা ঘটনা প্রতি দুইজন বন্ধুর দুইরকম দৃষ্টিভঙি। এটাই হচ্ছে প্রো-এ্যাক্টিভিটি & রি-এ্যাক্টিভিটির খেলা। মূলত একটা ঘটনা প্রতি আমরা কিভাবে রিএ্যাক্ট করি এটাই হচ্ছে প্রো-এ্যাক্টিভ & রি-এ্যাক্টিভ এটিটিউট এর মধ্যে পার্থক্য।
তুমি একটা স্টার্টআপ বিজেনেস শুরু করতে গেলে অনেক মানুষ তোমাকে বলবে তোমার আইডিয়া ব্যার্থ হবে। তুমি সফল হবা না। এখন তুমি যদি রি-এ্যাক্টিভ মানুষ হও তাহলে তুমি শুরু করার আগে মানুষের কথায় প্রভাবিত হয়ে হাল ছেড়ে দিবা। আর তুমি যদি প্রো-এ্যাক্টিভ মানুষ হও তাহলে তুমি চিন্তা করতে থাকবা কিভাবে আমি আমার আইডিয়া কে সফল করতে পারি।
তুমি শাকিব, তামিম, মেসি, নেইমার এর ফেসবুক পেজে গালি দিলেও তারা কখনোই তোমাকে পাল্টা গালি দিবে না। কারণ তারা অনেক বেশি প্রো-এ্যাক্টিভ।
অন্যদিকে তুমি সাধারণ কয়েকজন বন্ধু কে গালি দাও ফেসবুকে, দেখবে ওরা তোমার উপরে রেগে যাবে। তোমার উপর পাল্টা আক্রমণ করবে। কারণ তারা মানুষের কথায় প্রভাবিত হয় সবসময়। এখন তুমি সিদ্ধান্ত নাও, তুমি কোন এটিটিউট টি নিজের জন্য পছন্দ করবে। তুমি অবশ্যই প্রো-এ্যাক্টিভ এটিটিউট নিজের জন্য পছন্দ করবে। কারণ ভালো ব্যাক্তিত্বসম্পুর্ণ, সফল এবং সুখি হতে হলে তোমাকে অবশ্যই প্রো-এ্যাক্টিভ হতে হবে। আজকে আমি আলোচনা করবো কিভাবে প্রো-এ্যাক্টিভ থাকা যায়ঃ ১) সবসময় মানুষের কথা মন দিয়ে শুনবা। কিন্তু, তুমি সেটাই করবা যেটা তোমার মন বলে। ২)একটা আইডিয়া কাজ না করলে অন্য আরেকটি আইডিয়া খুঁজে বের করবা। ৩)সবসময় নিজের অনুভূতি গুলো নিয়ন্ত্রণ করবা। যেনো অন্য কেউ তোমাকে পাগল না বানাতে পারে। ৪)কাজ করার আগে সবসময় চিন্তা করবা। ৫)তুমি যা কিছু নিয়ন্ত্রণ করতে পারবা না সে বিষয়ে এক মিনিট বেশি ভেবে সময় নষ্ট করবা না। ৬) কেউ তোমার সাথে খারাপ আচরণ করলে তুমি তাদের সাথে ভালো আচারণ করবে সবসময়। ৭) বৃষ্টি হলে আল্লাহ কে দোষারোপ না করে ছাতা
নিয়ে স্কুল, কলেজ, অফিসে যাও। ৮)কারো সাথে ঝগড়া বা কথা কাটাকাটি হলে তুমি আগেই তাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিবা। ৯) সবসময় তর্ক এড়িয়ে চলবে। জ্ঞানীরা কখনো ভুল লোকের সাথে তর্ক করে না। গঠনমূলক তর্ক হলে অবশ্যই করবে। কারণ, সেখান থেকে অনেক কিছু শিখতে পারবে। ১০) সবসময় প্রো-এ্যাক্টিভ মানুষ দের কাছাকাছি থাকবে।
অসাধারন সুন্দর লেখা. জীবনে কাজে লাগাবো ইনশাআল্লাহ
খুব সুন্দর লিখেছেন, সহজ সাবলীল ভাষায় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় গুলি নিয়ে লিখা প্রশংসার দাবি রাখে।